আল্লাহর পরিচয়
আল্লাহ্ এক অদ্বিতীয়। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। একথা সরবোজন স্বীকৃত, তার
একত্ববাদের প্রমাণের জন্য কোন দলীলের প্রয়োজন নেই। বিনা দলিলে তিনি এক অদ্বিতীয়।
কারণ আমরা দেখি সুবিশাল পৃথিবী। এতে বাস করে অসংখ্য প্রাণী।
ঊষালগ্নে
পূরবো গগণে ভোরের রবি উদিত হয়। আস্তে আস্তে তার আলোকবর্তিকায় ছেয়ে যায় গোটাদেশ। এক
সময় এর দাহনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে মন। সন্ধ্যায় সে সূর্যো আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
পশ্চিম গগণে লালিমার প্রলেপ দিয়ে চুপিসারে পলায়ন করে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। আঁধারে
ছেয়ে যায় গোটা ভূমি। একটু পরে জ্বলজ্বল করে জ্বলে উঠে মাহ্তাব। তার মায়াবী কিরণ
কেড়ে নেয় আমাদের হৃদয়। নদীর পারে, বাড়ীর ছাদে উপভোগ করি সে আলো। দেখতে দেখতে তার
চতুরপার্শ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দৃষ্টিগোচর হয় অসংখ্য তারকারাজি।
রাত গভীর হয়। আস্তে আস্তে চন্দ্র প্রস্থানের প্রস্তুতি নেয়। নক্ষত্র রাজি আত্মগোপন করে আপন আপন কক্ষ পথে। আবার আগমন ঘটে দিনরে রবি। এমনিতেই চলে আসছে পৃথিবীর প্রতিনিয়ত রুটিন।
আমরা দেখি, আমাদের চারিপাশে অসংখ্য যানবাহন। নদী-পথের, স্থল-পথের আকাশ পথের। আমরা দেখিনি কোন গাছ নিজে নিজে কাঠ হয়ে লৌহের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে মানুষকে পারাপার করছে। দেখিনি কোন স্থলযানকে কোন চালক ছাড়া স্বেচ্ছায় নগর ভ্রমণ করছে। শুনিনি কোন বিমানকে যে কোন উপরকরণ ছাড়া নিজে নিজেই আকাশে উড়ছে। বরং আমরা দেখি মানুষ করাতে চিরে গাছ দিয়ে বানায় কাঠ, লাগায় পেরেক, ভাসায় পানিতে। এরপর হাতে বৈঠা নিয়ে, লগি নিয়ে একজন ধাক্কা দিলে নৌকা ভেসে চলে পানিতে আর এভাবেই মানুষ নৌকা করে পৌঁছতে পারে আপন গন্তব্যে।
আমরা আরো দেখতে পাই যে সকল যানগুলো আকাশ-পথে বা স্থ-পথে চলাচল করে সেগুলো কিন্তু একাকী চলতে পারে না। বরং এরও চলার জন্য প্রয়োজন হয় একজন চালকের। চালক ব্যতীত কষ্মিনকালেও তা আপন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। যদি কোন সময় চলেও তবু তখনই তা দূর্ঘটনা কবলিত হয়। এমনকি অদক্ষ চালক হলেও অনেক সময় যানগুলো এক্সিডেন্ট হয়।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকাগণ! আমরা উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে নিশ্চয়ই কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারিনা। তাহরে বলুনতো এ চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা ইত্যাদি সকল কিছু যা আপন কক্ষপথে পরিচালিত। যারা লক্ষ লক্ষ বছর যাবত্ স্বীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে আঞ্জাম দিয়ে আসছে; এদের কি কোন পরিচালকের প্রয়োজন নেই? নিশ্বয়ই আছে। আর সেই পরিচালকই হলেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন।
অর্থঃ কোন কিছুই তার সাদৃশ্য নয়। তিনি সর্ব শ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। সূরায়ে নাহালে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর জন্য উপমা বলতে যেওনা। তিনিই জানেন আর তোমরাই অজ্ঞ।
রাত গভীর হয়। আস্তে আস্তে চন্দ্র প্রস্থানের প্রস্তুতি নেয়। নক্ষত্র রাজি আত্মগোপন করে আপন আপন কক্ষ পথে। আবার আগমন ঘটে দিনরে রবি। এমনিতেই চলে আসছে পৃথিবীর প্রতিনিয়ত রুটিন।
আমরা দেখি, আমাদের চারিপাশে অসংখ্য যানবাহন। নদী-পথের, স্থল-পথের আকাশ পথের। আমরা দেখিনি কোন গাছ নিজে নিজে কাঠ হয়ে লৌহের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে মানুষকে পারাপার করছে। দেখিনি কোন স্থলযানকে কোন চালক ছাড়া স্বেচ্ছায় নগর ভ্রমণ করছে। শুনিনি কোন বিমানকে যে কোন উপরকরণ ছাড়া নিজে নিজেই আকাশে উড়ছে। বরং আমরা দেখি মানুষ করাতে চিরে গাছ দিয়ে বানায় কাঠ, লাগায় পেরেক, ভাসায় পানিতে। এরপর হাতে বৈঠা নিয়ে, লগি নিয়ে একজন ধাক্কা দিলে নৌকা ভেসে চলে পানিতে আর এভাবেই মানুষ নৌকা করে পৌঁছতে পারে আপন গন্তব্যে।
আমরা আরো দেখতে পাই যে সকল যানগুলো আকাশ-পথে বা স্থ-পথে চলাচল করে সেগুলো কিন্তু একাকী চলতে পারে না। বরং এরও চলার জন্য প্রয়োজন হয় একজন চালকের। চালক ব্যতীত কষ্মিনকালেও তা আপন গন্তব্যে পৌঁছতে পারে না। যদি কোন সময় চলেও তবু তখনই তা দূর্ঘটনা কবলিত হয়। এমনকি অদক্ষ চালক হলেও অনেক সময় যানগুলো এক্সিডেন্ট হয়।
প্রিয় পাঠক/পাঠিকাগণ! আমরা উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে নিশ্চয়ই কেউ দ্বিমত পোষণ করতে পারিনা। তাহরে বলুনতো এ চন্দ্র-সূর্য, গ্রহ-তারা ইত্যাদি সকল কিছু যা আপন কক্ষপথে পরিচালিত। যারা লক্ষ লক্ষ বছর যাবত্ স্বীয় দায়িত্ব সঠিকভাবে আঞ্জাম দিয়ে আসছে; এদের কি কোন পরিচালকের প্রয়োজন নেই? নিশ্বয়ই আছে। আর সেই পরিচালকই হলেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন।
আল-কোরআনের আলোকে আল্লাহর একত্ববাদ
আল্লাহ্ তায়ালা সূরা শুয়ারায় বলেন-অর্থঃ কোন কিছুই তার সাদৃশ্য নয়। তিনি সর্ব শ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা। সূরায়ে নাহালে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর জন্য উপমা বলতে যেওনা। তিনিই জানেন আর তোমরাই অজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment